সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

সিরাজদিখানে চলছে অর্ধশতাধিক অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা 

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজদিখানে চলছে অর্ধশতাধিক অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা 

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চলছে অর্ধশতাধিক অবৈধ ড্রেজার (বালু) ব্যবসা। এতে ভরাট হচ্ছে একের পর এক ফসলি জমি। এতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী। এতে করে এ উপজেলায় তিন ফসলি জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাশের ফসলি জমিগুলো। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী উপজেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানালেও, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সড়কের উপরে ও সড়ক ফুটু করে টানা হয়েছে ড্রেজারের পাইপ। এতে করে হুমকিতে পড়েছে সড়ক ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে যানবাহন চলাচলে। 

এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় ইউএনও সরোজমিন মালখানগর ইউনিয়নে ৬টি ড্রেজার ব্যবসায়ীকে হুঁশিয়ারী দেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ড্রেজার ও পাইপ সরিয়ে নিতে। কিন্তু তার একদিন পরেই আবার যেই সেই অবস্থা। গত বুধবার মালখানগর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ড্রেজার দিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে  ত্রি-ফসলি জমি।

এছাড়া তালতলা-ডহুরি খালে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও চলছে অহরহ। বিশেষ করে সন্ধার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত এগুলোর চলাচল সবচেয়ে বেশি। এতে করে আশেপাশের নদীপারের বসতবাড়িও ভেঙে যাচ্ছে। 

জানা গেছে, মালখানগর ডিগ্রি কলেজের উত্তর পাশের ড্রেজার পরিচালনা করছে, লালন দেওয়ান, মির্জা মাসুম, আব্দুল আহাদ খান, রনি, যুবলীগ নেতা মনোয়ার হোসেন মনু ও উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি বিল্লাল খান।

এছাড়াও  বাড়ৈপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য সুরুজ্জামাল, নাইশিং গ্রামে বালু দিয়ে জমি ভরাট করছে ইউপি সদস্য সায়েম সিকদার। নদী ও খালের মধ্যে অবৈধভাবে সরকারি মাটি চুরি করে বিক্রি করছে নাটেশ্বর গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

স্থানীয়রা কৃষকরা জানান, অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে ফসলিজমি নষ্ট করছে এসব বালুদস্যুরা। কিন্তু বালু উত্তোলনকারী ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তবে দু একটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার বন্ধ করলেও পুণরায় আবার ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন তারা।

নাটেশ্বর জেলেপাড়ার বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর এই খালে বড় ট্রলার ও ব্লাঙ্কহেড চলাচল করায় আাামাদের বাড়ি ঘর ভেঙে যাচ্ছে। প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানালেও কঠোর কোন ব্যবস্থা নেয় না।

বিষয়টি এখনি নজর না দিলে ভবিষ্যতে ফসিল জমিগুলো হারিয়ে যাবে। বিলীন হবে নদীর পাড়ের শতাধিক বসতবাড়ি।

সিরাজদিখান ইউএনও সাব্বির আহমেদ বলেন, তাদের নিষেধ করা হয়েছিল। তারা না মেনে আবার চালু করেছে। এখন প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে অপসারণ করবে ড্রেজার ও পাইপ।

টিএইচ